বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন
মোঃ নুরুন্নবী- পাবনা জেলা প্রতিনিধিঃ
সেপ্টেম্বর মাসের ভূতুরে বিদ্যুৎ বিল আসার অভিযোগ পাওয়া গেছে পাবনার চাটমোহরের একটি আবাসিক ভবনে।
ঐ ভবনে কেউ বসবাস না করলেও বিদ্যুৎ বিল এসেছে জরিমানা সহ ১১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫’শত ৮৭ টাকা! আর বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়েছে ৯০ হাজার ১ শত ৫০ ইউনিট বলে জানা গেছে।
বিল প্রস্তুত কারক আসমা খাতুন ও এ জিএম (অর্থ) এর স্বাক্ষর সম্বলিত বিলটি ১৩ই সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাতে পান ঐ ভবনের মালিক।
কিন্তু মিটার মালিকের পরিবার জানান গত ৬ মাসে পরিবারের কোন সদস্যই থাকেন না ঐ বাড়িতে। এরকম ভৌতিক বিল পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-১ অফিসে নতুন কোন বিষয় না। কারো নজরদারী না থাকায় এসকল ঘটনা ঘটলেও পবিস-১ প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করে। জোর করেই দোষ চাপানো হয় গ্রাহকের ঘাড়ে।
এই অফিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে- অদক্ষ অপারেটর দ্বারা বিদ্যুৎ বিল তৈরির ফলে বিদ্যুৎ বিলের কপিতে নাম, পিতার নাম, মোবাইল নং ভুলে ভরা থাকে। তারা মিটার রিডিং না করে অফিসে বসেই বিদ্যুৎ বিল তৈরি করেন। এ জিএম (অর্থ) এই বিল ক্রসচেক করার স্বাক্ষর থাকলেও তিনি কিছুই করেন না।
এছাড়া মিটারে কম বিদ্যুৎ ব্যাবহার দেখিয়ে বছর শেষে হাতিয়ে নেয় অবিরিক্ত টাকা। ফলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৩ লক্ষ গ্রাহক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন নানা সময়।
গত ১৩ই সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার অধীর কুমার সরকারের জিরো পয়েন্ট বাড়ীর ৪৭৬৬নং হিসাবের সেপ্টেম্বর-২২ মাসের বিদ্যুৎ বিল দায়িত্বরত লোকের কাছে দিয়ে চলে যান। এসময় পরিবারের লোকজন বিদ্যুৎ বিলের পরিমান দেখে আতকে উঠেন।
মিটার রিডার রেজাউলকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি দেখছি বলে এই বিলের কপিটি নিয়ে নিতে চান। পরে রাতে আবারো নতুন করে প্রিন্ট দেওয়া হয় এই বিল। সকালে এজিএম (অর্থ) কে দিয়ে জোর পূর্বক আগের বিল নিয়ে নতুন বিল চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন মিটার রিডার।
বিল প্রস্তুতকারী আসমা খাতুন ভূল স্বীকার করে জানান- মানুষই ভুল করে। কাজ করতে গেলে একটু ভূল হতেই পারে। নিউজটি না প্রকাশের জন্যও অনুরোধ করেন তিনি।
এ বিষয়ে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ-১ এর জেনারেল ম্যানেজার মোঃ আকমল হোসেন জানান- বিলটি কেউ ক্রসচেক করলে এমনটি হতো না। যদি কারো দোষ থাকে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।